নিজস্ব সংবাদদাতাঃ আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বা ইন্টারন্যাশনাল ক্বিরাত অর্গানাইজেশন (ইকো) একটি সংগঠন যার সাথে সম্পৃক্ত অনেক বরেন্য ব্যাক্তিদের বর্তমানে সারা পৃথিবীতে পাওয়া যাচ্ছে। সভাপতি, সহ-সভাপতি সহ বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল মিশর, তুরস্ক, কাতার, দুবাই,মালয়েশিয়া, তানজানিয়া সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আছেন।
আমাদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব বাংলাদেশী এবং ইকোর হেড অফিসও ঢাকায়। এটি বড়ো সৌভাগ্যের বিষয়।
আমরা যারা কোরআনের সাথে আছি, বয়স্ক প্রবীণ, আমরা দুদিন পর চলে যাবো, দুদিনপর আমরা দুনিয়ায় থাকবো না।
কিন্তু নতুন প্রজন্মকে, আজ নতুন যে শিশুটি দুনিয়াতে এসেছে, যারা আধো আধো মা নামটি, আল্লাহ নামটি শিখছে, তাদের মুখেও কিভাবে কোরআন তুলে দেওয়া যায় এবং কিশোরদের কাছে কিভাবে কোরআনকে জনপ্রিয় করা যায় এজন্যই মুলত উদ্যোক্তারা ছাত্র তরুণদের নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশের সহযোগী সংগঠন করার চিন্তা করেছেন।
ইকো বাংলাদেশের সভাপতি ক্বারী আবুল হোসাইন সাহেবের পরামর্শে কেন্দ্রীয় মহাসচিব শায়েখ ক্বারী সাদ সাইফুল্লাহ মাদানীর হাত ধরে শুরু হচ্ছে এর কার্যক্রম। যেহেতু দীনের কাজে আমাকে অনেকের মতো তারাও সবসময় স্মরণ করেন, নক দেন এবং পরামর্শ করেন। আমি ইকোর সাথে সবসময় আছি।
কাজের সুবিধার্থে International Qirat Organization (IQO) সংক্ষিপ্তরূপ মিল রেখে নাম করণ করা হয়েছে ইকো ছাত্র পরিষদ।
আমি আশা করি ইকো ছাত্র পরিষদে বাংলাদেশের সব ইসলাম প্রিয় ছাত্র তরুণ যুক্ত হবেন। যেহেতু এটা অরাজনৈতিক এবং কোন সম্প্রদায়ের জন্য খাস না, যারা কোরআন প্রেমিক মোমেন, শিশু কিশোর তরুণ ছাত্র সবাই এর সাথে যুক্ত হবেন।
কোরআনের খিদমত , কোরআন তিলাওয়াত, তাজবীদ, কোরআনের হিফজ, কোরআনের প্রচার প্রসার এবং শিক্ষা আদর্শ ও আলোকে সারা বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়ার জন্য একটি দক্ষ প্রশিক্ষিত কর্মীদল গঠন হবে। আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত, কাজেই কোরআনের আলোকে আগামী দিনগুলো যেন আল্লাহ তায়ালা আলোকিত এবং সুসজ্জিত করেন।
সেই লক্ষ্যে আমি সবাইকে আহ্বান করবো, প্রিয় ছাত্ররা যারা নিজেদের তৈরি করতে চান সবাই ইকো ছাত্র পরিষদে এসে যান, নিজেদের সম্পৃক্ত করুন।
কোরআনপ্রেমী সবার প্রতি আমি এ আহ্বান রাখি।
আল্লামা উবায়দুর রহমান খান নদভী।
সিনিয়র সহকারী সম্পাদক দৈনিক ইনকিলাব।
চেয়ারম্যান ও ডিজি, ঢাকা সেন্টার ফর দাওয়াহ এন্ড কালচার।