পানির চাপে ভোলা, বরগুনা ও সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তা, বাড়ি, ফসলি জমি ও কয়েক হাজার একর মাছের ঘের। আর জোয়ারের পানিতে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ-আসাদগঞ্জ ও আগ্রাবাদের নিচু এলাকা বরিশাল নগরীর বিভিন্ন এলাকা।
অমাবস্যার জোয়ার আর লঘু চাপের প্রভাবে উত্তাল ঢেউয়ে কুয়াকাটা সৈকতের অন্তত ৩০ ফুট এলাকা সমুদ্রে বিলীন হয়েছে। সৈকতে উপড়ে পড়েছে বড় বড় গাছ। এছাড়া জোয়ারের তোড়ে কলাপাড়ার পাঁচটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে পানিবন্দি ১১ গ্রামের প্রায় ৩০হাজার মানুষ।
ভোলায় জোয়ারের চাপে মেঘনার পানিতে প্লাবিত হয়েছে ভোলা সদর, বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখানের অন্তত ২০টি গ্রাম। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট।
সাতক্ষীরার আশাশুনির প্রতাপনগরের কুড়িকাউনিয়া পয়েন্টের রিংবাঁধ ভেঙে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রাস্তাঘাটের ক্ষতি ছাড়াও ভেসে গেছে কয়েক হাজার একর চিংড়ি ঘের।
টানা বৃষ্টি ও সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে খুলনার সুন্দরবন উপকূলীয় কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। তলিয়ে গেছে চিংড়ি ঘের ও রোপা আমন ক্ষেত।
বরগুনার পাথরঘাটায় বলেশ্বর নদীর ১০০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে মাছের ঘের ও ফসলি জমি।
শরীয়তপুরে পদ্মা ও মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে নড়িয়া, জাজিরা ও গোসাইরহাট উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকা পঞ্চম দফা বন্যা কবলিত হয়েছে। মাদারীপুরে পদ্মার পানি বাড়ছেই। তীব্র ঢেউয়ে ভাঙন ঝুঁকিতে অনেক স্থাপনা।
এদিকে, চট্টগ্রামে প্রতিদিন দুইবার জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকছে দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ-আসাদগঞ্জ ও আগ্রাবাদের নিচু এলাকা।
এছাড়া, বরিশালের বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া কীর্তনখোলার জোয়ারে বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।