ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি মাগুরা:বিশিষ্ট টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেতা সাব্বির আহমেদের সাথে প্রতারণা ও চেক অসম্মানের মামলায় আদালতে ৫ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী খান জামিলুর রহমান সােহেলকে মাগুরা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
বুধবার রাতে সােহেলকে মাগুরার শহরের দোয়ারপাড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ । সােহেল শহরের দোয়ারপাড় এলাকার খান হাফিজুর রহমানের ছেলে । চলচ্চিত্র অভিনেতা সাৰ্বির এর দায়েরকৃত প্রতারনা ও দুটি চেক অসম্মানের মামলায় ঢাকার একটি আদালত সােহেলকে ৫ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেয় ।
মামলার অভিযােগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়- আসামী সােহেল একজন প্রতারক ও ধান্দাবাজ শ্রেণীর মানুষ । তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনকে দেশে বিভিন্ন চাকরি , বিদেশে চাকুরি দিয়ে মানুষ পাঠাবে এবং ঢাকায় বড় ব্যবসা করে ও ব্যবসার প্রয়ােজন এ কিছু টাকা প্রয়ােজন । কিছু লাভ দিব এইসব কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা নেয় ।
কিছু দিন পর টাকা ফেরত দিব বলে নানান মানুষের সাথে নানান কথা বলে টাকা নিয়ে প্রতারনা করে আসছে । এরই ধারাবাহিকতায় মাগুরার সন্তান জনপ্রিয় অভিনেতা সাবিবর আহমেদ এর সাথে একই এলাকার বড় ভাই হিসাবে পরিচিত হয়ে তার ঢাকার বাসায় যাতায়াত শুরু করে ।
নিজের আসল চরিত্র লুকিয়ে তার নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করতে তাকে নানাভাবে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে । ভাল একটি ব্যবসার পার্টনার হিসেবে সম্মানজনক লাভের অংশ দেয়ার কথা বলে প্রতারক সােহেল অভিনেতা সাব্বিরের কাছে ব্যবসার জন্য ৬ লাখ টাকা চায় । সরল বিশ্বাসে অভিনেতা সাবিবর আহমেদ প্রতারক সােহেলকে ২০১৩ সালে ৬ লক্ষ টাকা দেয় । এ সময় তিনি সাবিবর আহমেদকে ২ টি চেক দেন । কিছুদিন পর সােহেলের প্রতারক চেহারা বুঝতে পেরে সাব্বির তার কাছে টাকা ফেরত চায় ।
সাবিবর ৬ লক্ষ টাকার চেক উল্লেখিত ব্যাংক এ গিয়ে দেখে ( সাহেল এর ব্যাংক হিসাবে কোন টাকা নেই । চেক ডিজ অনার হয় । ২০১৬ সালে অভিনেতা সাব্বির বাদি হয়ে ঢাকা জর্জ কোর্ট আদালতে খান জামিলুর রহমান সােহেল এর নামে চেক জালিয়াতির মামলা করেন ।
যার নম্বর দায়রা ৫,৯৩১ / ১৭ ও সিআর ৪৩৮/১৭ । এ দুটি চেক অসম্মানের মামলায় আদালত সম্প্রতি আসামী সােহেলকে ৫ মাসের সাজা ঘােষণা দেন । এ মামলায় বুধবার রাতে সাজাপ্রাপ্ত আসামী সােহেলকে তার নিজ বাড়ী দোয়ারপাড় সাহাপাড়া থেকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ ।