বিনোদন ডেস্ক
দেশের প্রায় সকল গণমাধ্যমে একটি সংবাদ ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। নিজের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে বাইক নিয়ে হাজির হয়েছেন যশোরের মে’য়ে ফারহানা আফরোজ। গত ১৪ আগস্ট গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হওয়ায় বি’ভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। ফারহানা নিজেও গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি পরিস্কার না করায় বি’ভ্রান্তি বাড়ে।
১৩ আগস্টে সাজগোজ ও অনুষ্ঠানের বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি ঢাকাতে দেখেছি, অনেক বিয়েতে বর নিজে মোটরসাইকেল চালিয়ে বন্ধুবান্ধব নিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যান। আমি মোটরসাইকেল চালাতে পারি। আমা’রও ইচ্ছে হয়েছে। আমি ইচ্ছেপূরণ করেছি। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে একটু হইচই-আনন্দ করেছি।
ফারহানার এ বক্তব্যে অন্যদের মতো করে বিয়ে করার ইচ্ছার কথা জানানোয় তাকে ‘নববধূ’ হিসেবে গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে তিনি নববধূ নন। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যকে নিশ্চিত করেছেন ফারাহানার ঘনিষ্ঠজনরা।
ফারহানার বান্ধবী নওরীন মোক্তাকি জয়া বলেন, যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে ফারহানার সঙ্গে আমা’র বন্ধুত্ব। এরপর যশোর আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজে একসঙ্গে এইচএসসি পরীক্ষা দেই। ফারহানা খুব ভালো মনের মানুষ, মিশুক এবং সেলফ ডিপেন্ডেডেন্ট। সবার উপকার করে। যেহেতু ও (ফারহানা) বাইক চালাতে পারে তাই শখ ছিল নিজের বিয়েতে বাইক রাইডিং করার। ও শো-আপ চায়নি।
জয়া বলেন, দেশের মানুষ রাইড শেয়ারে মে’য়ে চালকদের সাথে বসতে পারে। অথচ ফারহান রাইডিংকে সহ্য করতে পারছে না। এটা সংকী’র্ণতা।ফারহানর বন্ধু প্রোফেশনাল ফটোগ্রাফার তরু খান বলেন, ফারহানা আমা’র কলেজ পর্যায়ের বন্ধু। সে সময় ও আমাদের সঙ্গেই বাইক চালাতো। ফারহানার স্বাধীনচেতা মে’য়ে। তার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে আম’রা বন্ধুরা ১৫/২০টি মোটরসাইকেল নিয়ে শহর ঘুরেছি। এতে দোষ কোথায়?
এদিকে যে যাই কথা বলুক না কেনো ফারহানার শ্বশুর কিন্তু তাকে ঠিকই মোটরসাইকেল উপহার দিয়েছেন। শুধু তাই নয় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে ভালো বোঝাপড়ার ফলে আগামীতেও তিনি বাইক রাইডিং অব্যাহত রাখবেন।