ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি
মাগুরা পৌরসভার পাল্লা গ্রামে তুজাম (১৮) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া গেছে।
আজ শুক্রবার ভোরে তার বাড়ীর পাশের একটি আম বাগানে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় প্রতিবেশীরা।
নিহত তুজাম পাল্লা গ্রামের মুরাদ মিয়ার ছেলে। তুজাম দীর্ঘ চার বছর যাবত মাগুরা পশু হাসপাতালের পাশে আশিকের মোটরসাইকেল গ্যারেজ কর্মরত ছিলো।
কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে সে ব্যাপারে জানতে চাইলে নিহতের বড় ভাই বলেন ১১/১১/২০২০ বুধবার সন্ধ্যায় আশিকের মটর সাইকেল গ্যারেজের মাঝে পড়ে থাকা কিছু লোহা লক্কর গুছিয়ে রাখে বিক্রি করার উদ্দেশ্যে। গ্যারেজ মালিক আশিক টের পেয়ে এক কথায় দুই কথায় কর্মচারী তুজামকে কিল-ঘুষি ও মানষিক নির্যাতন করে। তুজামের বড় ভাই সুজান বলে আমার ছোট ভাই ঐরাতে বাড়ি এসে কারো সঙ্গে কথা না বলে মনে খরাপ করে থাকে। রাতের খাবার খেতে বললে বলে খাব না খেয়ে আসছি বলে ঘুমিয়ে পড়ে।
পরের দিন ১২/১১/২০ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে গ্যারেজে না গিয়ে শহরে ঘুরা ফেরা করতে থাকা অবস্থায় গ্যারেজ মালিক আশিক তাকে দেখে ধরে গ্যারেজ এ নিয়ে মারধর করে।পরে আমি ও আমার বাবা খবর পেয়ে গ্যারেজে গিয়ে দেখি আমার ভাই বসে আছে তার ঠোঁট দিয় রক্ত বের হচ্ছে। আমাদের মধ্যস্তায় বিষয়টি মিমাংসা করে তুজাম কে গ্যারেজে রেখে চলে আসি। দুপুরে আমি খোজ নেওয়ার জন্য তুজামের মোবাইলে ফোন করলে রিসিভ না করায় বিকালে আমি গ্যারেজে যায়।আমার ভাই কই জানতে চাইলে গ্যারেজ থেকে বলে ১০ টাকা নিয়ে বাড়ি চলে গেছে। খোজ নিয়ে জানলাম বাড়ীতে ও যায়নি।
তুজাম এর মা সারারাত ঘরের দরজা খুলে বসে থাকে ছেলে কখন আসবে?বড় ভাই সুজানের সঙ্গে ঘুমায় তুজাম। সারারাত সুজানো ঘুমাইনি,বসে আছে ছোট ভাই কখন আসবে?কোথায় গেলো?কি করছে ওকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছে তাঁর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশের পক্ষ থেকে এস আই আলমগীর বলেন,আমরা আলামত সংগ্রহ করেছি তাতে প্রাথমিকভাবে বুঝা যাচ্ছে আত্মহত্যা করেছে।