মহম্মদপুর প্রতিনিধি
শিশুদের ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মাগুরার মহম্মদপুর উপজলার বিনাদপুর ইউনিয়নের কালুকাদি গ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ কমপক্ষে ১৫ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের মাগুরা সদর হাসপাতালে ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালিন সময় ৩টি বাড়িঘর ভাংচুরর ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত বহস্পতিবার স্থানীয় খেলার মাঠে শিশুদের ফুটবল খেলার সময় সমবয়সী বন্ধু জাহাঙ্গীর ও রাব্বীর মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকালে কালুকাদি এলাকার একটি মুদি দোকানের সামনে উভয় বন্ধুর মধ্যে দেখা হলে রাব্বী জাহাঙ্গীর কে কিলঘুষি মারে। জাহাঙ্গীর বাড়িত গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে এ খবর জানালে তার পিতা বাবুল শিকদার সঙ্গীদের নিয়ে প্রতিপক্ষ বাহাজউদ্দীনের বাড়িতে আক্রামন করলে সংঘর্ষের সষ্টি হয়।
এ সময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র সাজে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয় পড়ে। রক্তক্ষয়ী এই সংঘর্ষ উভয় পক্ষের কমপক্ষ ১৫ জন আহত হয়। গুরুতর আহত মুনসুর মোল্লা (৪২), চুন্নু শিকদার (৩৮), মজনু শিকদার (৫০), সিজান শিকদার (৩২), আলাউদ্দিন মন্ডল (৩৪), আলম শেখ (৩৬), ফজলু (৩০) মাজেদুল (১৮), মনিরুল (২৫) কে মাগুরা সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
মুনসুর মোল্যার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালিন সময় ইনছার মন্ডল, হানিফ মন্ডল ও ফজলু শিকদারর বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুরর ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সাথ জড়িত থাকার অভিযাগ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আমিনুর, কফিল, হাফিজার, খাজারুল ও নাজারুল কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ রিপার্ট লেখা পর্যন্ত এলকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করেছে। ফরিদপুর মেডিকেলে মুনসুর মোল্যার মৃত্যুর গুজব শোনা গেলেও নিশ্চিত খবর পাওয়া যায়নি। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারক বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এবং আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।