গুড়িয়ে ফেলা ভাটাগুলো হলো- শ্রীপর উপজেলার রায়নগর এলাকার আবু জাফর পরিচালিত গড়াই ব্রিকস্ নাকোল এলাকার হুমাউনুর রশিদ মুহিতের টপটেন ভাটা ,মহেশপুর এলাকার লিটু শেখের জিয়া ব্রিকস্ , সারঙ্গদিয়া এলাকার মুশফিকুর রহমান কাননের হামিম ব্রিকস্। মাগুরা সদর এর পুকুরিয়া এলাকার মির রওনক হোসেন চেয়ারম্যানের এইচ এন ডি ব্রিকস্,বাগবারিয়া এলাকার সুমনের এমএস ব্রিকস্।সকল ইট ভাটার কাচা ইট গুলো ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে সেইসাথে চিমনি গুলোও ভেংগে দেওয়া হয়েছে। গড়াই ব্রিকসের মালিক আবু জাফর বলেন আমাদের ভাটায় ২০ লক্ষ কাচা ইট ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। মোট আনুমানিক প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে ।এ তো আমরা অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে গেলাম এবং নিঃস্ব হয়ে গেছি। অথচ সরকারের রাজস্ব খাতে প্রতিনিয়ত ভ্যাট ও ট্যাক্স দিয়ে আসছি। এভাবে প্রত্যেকটি ইটভাটায় ১ থেকে ২ কোটি টাকার মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মাশরুবা ফেরদৌসী বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা অবৈধ্য ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি। এর আগে আমরা জরিমানা করেছি, আদালতে মামলা করেছি আদালত থেকে আমাদেরকে ইটভাটাগুলো ভেঙে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে । পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া যতগুলো ইটভাটা রয়েছে প্রত্যেক ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মাশরুবা ফেরদৌসী বলেন, ভাটায় স্থায়ী ভাবে চিমনি করে যারা ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে আসছে তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যে সব ভাটায় স্থায়ী চিমনি ব্যবহার না করে হাওয়ার মাধ্যমে ইট তৈরির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রাথমিক ভাবে জরিমাণা করা হচ্ছে। ২০১২ সালের পরিবেশ দূষণকারী সনাতন পদ্ধতীর ফিক্সড চিমনি ইটভাটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।