মোঃ ইউনুছ
স্টাফ রিপোর্টার
মাগুরায় চাল-তেলসহলসহ নিত্য পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়়েছেে।
চাল-তেলসহ নিত্য পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে গণকমিটি মাগুরা জেলার উদ্যোগে আজ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সকাল ১১টায় মাগুরা জেলা প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণকমিটির আহ্বায়ক এটিএম মহব্বত আলী ( বাংলাদেশ জাসদ মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি)। সমাবেশ পরিচালনা করেন যুগ্ম সদস্য সচিব প্রকৌশলী শম্পা বসু (বাসদ কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য)। বক্তব্য প্রদান করেন, গণকমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী ফিরোজ (সভাপতি, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি মার্কসবাদী ), গণকমিটির সদস্য সচিব এটিএম আনিসুর রহমান (সিপিবি মাগুরা সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি), বাংলাদেশ জাসদ মাগুরা জেলা শাখার নেতা বাহারুল হায়দার বাচ্চু ।
বক্তারা বলেন, চাল-তেলসহ নিত্য পণ্যের দামের উর্দ্ধগতিতে মানুষের জীবন অসহনীয় হয়ে পড়েছে । বাজারে মোটা চাল ৫৫ টাকা, চিকন চাল ৬২ থেকে ৭০ টাকা, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৪০ টাকা । চালের দাম একবছরে কেজি প্রতি প্রায় ২০ টাকা বেড়ে গেছে । চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে চাল ব্যবসায়ী ও চালকল মালিকদের । কিন্তু তারা অত্যন্ত ধীর গতিতে চাল আমদানি করছেন যাতে চালের দাম না কমে। ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ১০ লাখ টন চাল আমদানি করার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ৬৪ হাজার টন চাল দেশে এসে পৌঁছেছে। অথচ কৃষকদের সময়মতো এবং প্রয়োজনমতো সহায়তা করলে খাদ্য নিয়ে এই সমস্যা হতো না। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছে কৃষকরা কিন্তু সবসময় তারা থাকে উপেক্ষিত। চাল আমদানির শুল্ক ৬২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর সুফল ব্যবসায়ীদের পকেটে যাবে তা বলাই বাহুল্য। চাল আমদানির ঘোষণার পর ধানের দাম মণপ্রতি ১০০ টাকা কমেছে কিন্তু কমেনি চালের দাম। ধানের দাম নির্ধারণ করে সরকার, কৃষক সে অনুযায়ী দাম পায় না। আবার চালের দাম সরকার নির্ধারণ করে কিন্তু চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে সিন্ডিকেট, তাই ভোক্তারা বেশি দামে কিনতে বাধ্য হয়। ব্যবসায়ীদের জন্য বাজার একেবারে উন্মুক্ত। করোনাকালে এটা আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। চাল-তেলসহ নিত্য পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেটের হোতারা। সরকার তাদেরকেই পৃষ্ঠপোষকতা করছে ।
বক্তারা বলেন, বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের পর্যবেক্ষণলব্ধ তথ্য প্রকাশ করে বলেছে, করোনায় দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষের আয় কমে গেছে। কারও কারও আয় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। প্রায় ১২ কোটি মানুষ দারিদ্র্য ঝুঁকির মধ্যে আছে বলেও গবেষণা সংস্থাগুলো বলছে। আর সে সময় এভাবে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্দ্ধগতি মানুষের জীবনকে আরও বিপর্যস্ত করে তুলেছে ।
অবিলম্বে চাল-তেলসহ নিত্য পণ্যের দাম কমানো, শ্রমিক-কৃষক মেহনতি মানুষের জন্য আর্মি রেটে রেশন বরাদ্দ করা এবং বাজার সিন্ডিকেটের হোতাদের বিচার করার দাবি জানান হয় সমাবেশ থেকে ।